মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এজেন্টশীপ নিতে করনীয় ও সুবিধা
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এজেন্টশীপ নিতে কি করবেন এবং কি সুবিধা পাবেন ?
বর্তমান সময়ে সব থেকে জনপ্রিয় বিজনেস হল এজেন্ট ব্যাংকিং বিজনেস। কারন আপনি যে বিজনেস করুন না কেন সে বিজনেস এর উত্থান পতন আছে । কিন্তু আপনি যদি ব্যাংকিং এর বিজনেস করেন এইটা একদিকে যেমন নিরাপদ অন্যদিকে সম্মানজনক। তাই সময়ের সাথে সাথে এজেন্ট ব্যাংকিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের পরিচিতি ঃ
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে। সফলতার সাথে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০১৬ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং এর যাত্রা শুরু করে । প্রায় ৫ বছর ধরে এজেন্ট মালিক এবং গ্রাহকের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এজেন্ট ব্যাংকিং এগিয়ে চলেছে ।
ম্যানেজমেন্ট কমিটি
চেয়ারম্যান ঃ
বর্তমান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান মিস্টার হেদায়েতউল্লাহ স্যার।
ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সি ই ওঃ
ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সি ই ও হলেন সৈয়দ মাহবুবুর রহমান স্যার।
প্রশ্নঃ এজেন্ট ব্যাংকিং কি ?
উত্তরঃএজেন্ট ব্যাংকিং হল ব্যাংক এবং এজেন্ট এর যৌথ চুক্তির মাধ্যমে একটি বিজনেস প্রক্রিয়া। এই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি ব্যাংকিং বিজনেস শুরু করার অনুমতি পায়।
প্রশ্নঃ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এজেন্টশীপ নিতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে ?
উত্তরঃ
আবেদনকারীর দুই কপি ছবি
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
শিক্ষাগত সনদের কপি
ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এর কপি আপডেট (নতুন হতে পারে)
শারীরিক ফিটনেস এর অরিজিনাল কপি (এম বি বি এস ডাক্তার দিবে)
এলাকার সম্মানিত দুইজনের রেফারেন্স (অরিজিনাল)
গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অরিজিনাল)
ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (অরিজিনাল)
টিন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্র (অনুমদনের পরে)
বাসার বিদ্যুৎ, পানি বা গ্যাস বিল বা কার্ডের কপি
নমিনি এর ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
প্রশ্নঃ কাদেরকে এজেন্টশীপ দেয়া হয়?
উত্তরঃ আর্থিক ভাবে সচ্ছল, সৎ, এবং সমাজে পরিচিতি আছে এমন ব্যক্তিতে আজেন্টশীপ দেয়া হয় ।
যৌথভাবে এজেন্টশীপ নিতে পারবে কিনা ?
যৌথভাবে এজেন্টশীপ নিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক কি কি সেবা পেতে পারে ?
উত্তরঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক ব্যাংকিং এর সব ধরনের সেবা গ্রহন করতে পারবে ।
যেমন
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ওপেন
টাকা জমা
টাকা উত্তোলন
বিদ্যুৎ বিল প্রদান
রেমিটেন্স গ্রহন
চেকবই পাবে
ডেবিট কার্ড পাবে
এক কথায় ব্যাংকিং সকল সুযোগ সুবিধা গ্রাহকগণ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাবে ।
প্রশ্নঃ এজেন্ট ব্যাংকিং কি সব জায়গায় দেয়া হয় ?
উত্তরঃ হ্যাঁ এজেন্ট ব্যাংকিং মোটামুটি সকল জায়গাতে দেয়া যাবে তবে সেখানে কিছু শর্ত আছে । যেমন এজেন্ট ব্যাংকিং করার জন্য প্রথমত একটা বাজার থাকতে হবে। যেখানে লোকসমাগম ঘটে ।
প্রশ্নঃ একি ব্যাংকের এজেন্ট সেন্টার থেকে অন্য সেন্টার এর দূরত্ব কততুকু হয় ?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন ২ কিমি
প্রশ্নঃ এজেন্ট সেন্টার থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?
উত্তরঃ ইনকাম আপনার সেন্টার এর ডিপোজিট এর উপর নির্ভর করবে । আপনি এখান থেকে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ কত টাকা ইনভেস্ট করা লাগে একটা এজেন্ট ব্যাংকিং করতে ?
উত্তরঃ ইনভেস্ট নির্ভর করে আপনি যেখানে এজেন্ট সেন্টার নিবেন সেই বাজার সাইজ , দোকান , ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা , অন্যান্য ব্যাংকের সংখ্যার উপর ।
তবে ছোট বাজার গুলোতে এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করার জন্য ৬-৭ লাখ টাকা ইনভেস্ট করা লাগতে পারে ।
প্রশ্নঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এ এজেন্ট মালিক কোন কোন খাত থেকে ইনকাম করে ?
উত্তরঃ এজেন্ট মালিকের মুনাফার প্রধান উৎস হল ডিপোজিট। এজেন্ট সেন্টার এ কাস্টমারের টাকার উপরে প্রফিট পাবে । এছাড়া কাস্টমারের চেকবই ইস্যু , ডেবিট কার্ড , ইস্যু করলে তার উপর নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবে।
তাছাড়া রেমিটেন্স প্রদান করলে কমিশন, বিদ্যুৎ বিল গ্রহনে কমিশন প্রাপ্ত হবেন।
এছাড়াও ব্যাংক থেকে বছরে দুইবার গ্রাহকের আকাউন্ট থেকে চার্জ কাটা হয় সেখান থেকে এজেন্ট মালিক ৫০% কমিশন পাবেন।
এজেন্ট সেন্টার থেকে ফান্ড ট্রান্সফার , আর টি জি এস , বি ই এফ টি এন করলে সেখান থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন থাকবে।
প্রশ্নঃ সেন্টার এর প্রফিট আসতে কত সময় লাগতে পারে ?
উত্তরঃ কোন কোন সেন্টার ৩ মাসে প্রফিট করতে পারে আবার কোন কোন সেন্টার ৬ মাসে । এইটা নির্ভর করবে সেন্টার এর ডিপোজিট এর উপর।
প্রশ্নঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য কত বছরের চুক্তি হয় ?
উত্তরঃ এই চুক্তি সারা জীবনের জন্য । যদি কেউ ব্যাংক বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয় তাহলে সে যতদিন চাইবে বিজনেস করতে পারবে ।
প্রশ্নঃ এজেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে কোন আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে কি না ?
উত্তরঃ এজেন্ট সেন্টার নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে আর্থিকভাবে কোন সহায়তা করা হয় না। সম্পূর্ণ খরচ এজেন্ট মালিককে বহন করতে হবে।
প্রশ্নঃ এজেন্ট এর আবেদন করার কতদিন এর মধ্যে বিজনেস শুরু করতে পারবে ?
উত্তরঃ সকল কাগজ পত্র জমা দেয়ার দেড় থেকে দুই মাসের ভিতরে বিজনেস শুরু করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ এজেন্ট সেন্টারের জন্য ব্যাংক থেকে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় কিনা এবং সে কতদিন সেখানে থাকবে ?
উত্তরঃ এজেন্ট সেন্টারের জন্য ব্যাংক থেকে একজন অফিসার নিয়োগ করা হয় এবং সে লাইফ টাইম কাজ করবে।
প্রশ্নঃ ব্যাংকের অফিসার এর বেতন কে বহন করবে ?
উত্তরঃ ব্যাংকের অফিসার এর বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ব্যাংক বহন করবে ।
প্রশ্নঃ এজেন্ট নিজে কি সেন্টার এর অফিসার হতে পারবে ?
উত্তরঃ না , কারন ব্যাংকের নিয়োগ সম্পূর্ণ ব্যাংক মানেজমেন্ট কমিটি নিয়ন্ত্রণ করে তাই সেন্টারে কাকে নিয়োগ করা হবে সেটা সম্পূর্ণ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয় ।
প্রশ্নঃ নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসার ক্যাশ লেনদেন এর কোন সহায়তা করতে পারবে কিনা ?
উত্তরঃ না , ব্যাংকের অফিসার কোন ভাবেই সেন্টারের ক্যাশ লেনদেনে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না । ব্যাংক থেকে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।
প্রশ্নঃ এজেন্ট ব্যাংক নেয়ার জন্য রুম এর সাইজ কেমন হবে এবং কত ফ্লোর পর্যন্ত ?
উত্তরঃ অফিস স্পেস সর্বনিম্ন ৩০০ স্কোয়ার ফিট এবং নিচতলা বা প্রথমতলা হতে হবে ।
প্রশ্নঃ ব্যাংকের ডেকোরেশন কি নিজের মতো করা যাবে ?
উত্তরঃ না , ডেকোরেশন ব্যাংকের ডিজাইন অনুযায়ী করতে হবে ।
প্রশ্নঃ এজেন্ট নিতে গেলে কোন সিকুরিটি মানি লাগে কিনা ?
উত্তরঃ না , এজেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে কোন সিকুরিটি মানি লাগে না ।
প্রশ্নঃ মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এজেন্ট নেয়ার জন্য কোন ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করলে হবে কিনা?
উত্তরঃ এজেন্ট নেয়ার জন্য আপনি সরাসরি হেডঅফিসে যোগাযোগ করুন সেখান থেকে আপনার এলাকাই কর্মরত অফিসার আপনার সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়ে থাকে।